আসসালামু’আলাইকুম,
প্রিয় মুসলিম ভাই/বোন
একজন সচেতন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে আপনি আপনার প্রিয় সন্তানকে নৈতিক, ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে অবশ্যই দেখতে চান। কিন্তু নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ের এ যুগে সন্তানের সুশিক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকল সচেতন অভিভাবক।
একটি শিশুর নৈতিক মূল্যবোধের বীজ বপন হওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে তার শৈশব ও বাল্যকাল। শৈশবে একটি শিশুর অন্তরে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার যে বীজ বপন হয় পরবর্তী জীবনে তারই প্রতিফলন ঘটে। আর ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত শুধুমাত্র জাগতিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি শিশুকে কখনো পরিপূর্নভাবে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ মানুষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যায় না।কাজেই একটি শিশুর প্রাক প্রাথমিক বুনিয়াদি শিক্ষাটা ধর্মীয় শিক্ষা তথা কোরআন হাদিসের শিক্ষার মাধ্যমেই শুরু করা উচিত।মনে রাখবেন প্রত্যেক পিতা মাতার জন্য সন্তান একটি বড় নেয়ামত। সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া আপনার উপর ফরজ ও নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সামান্য উদাসীনতা ও ভুল সিন্ধান্তের কারনে আপনার সন্তানের জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারে।নষ্ট হয়ে যেতে তাঁর পারে দুনিয়া ও আখিরাত। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে একটি শিশুর জীবন ধর্মীয় ভাবধারায় পরিপুষ্ট করে পরিচালিত করলে সে জীবনে চলার পথে আর যাই হোক না কেন কখনো পথভ্রষ্ট হয় না। তাই বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে শুদ্ধ ও সুন্দর জীবনধারা ঠিক করে দেওয়াটা প্রত্যেক পিতামাতার একান্ত কর্তব্য। এতে করে দুনিয়াতে শান্তি পাওয়ার সাথে সাথে আখিরাতেও সেই সন্তানের পিতামাতা হিসেবে আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত অসীম মর্যাদা প্রাপ্ত হবেন আশা করি।
কাজেই সন্তান নামক এই মহা মূল্যবান নেয়ামত কে সৎ, চরিত্রবান ও বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকার যোগ্য করে গড়ে তোলার উদেশ্যকে সামনে রেখেই ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে আদ-দ্বোহা ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক স্কলার্স ও মাদরাসাতুদ দ্বোহা আল ইসলামিয়া।
আমরা আপনার সন্তানকে ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে সৎ, চরিত্রবান ও আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যোগ্য করে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। কাজেই আপনাদের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি।
আল্লাহ তা’য়ালা যেন আমাদের এ নেক প্রচেষ্টাকে কবুল করেন-আমিন।